সম্পদ মূল্যবান কিন্তু জীবন অমূল্য
বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০২৪ সালের জুলাই একটি অভিশপ্ত মাস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আন্দোলন, বিক্ষোভ, হত্যা, নির্মমতা, নৃশংসতা, নাশকতা, ধ্বংসযজ্ঞ, গুজব- একসাথে সবকিছুর এক নিষ্ঠুর প্রদর্শনী দেখেছে বাংলাদেশে। ১৬ থেকে ২০ জুলাই এই পাঁচদিন বাংলাদেশ ছিল সংঘাতময়। বিশেষ করে ১৮ ও ১৯ জুলাই সবকিছু ছিল অন্ধকারে; বাংলাদেশ ছিল অরক্ষিত, অসহায়, নিরাপত্তহীন। কেউ পুরোপুরি জানতো না দেশে আসলে কী হচ্ছে।
এই সময়টা আসলেই বাংলাদেশের ইতিহাসে একটা অন্ধকার সময়। শেষ পর্যন্ত সরকার বাধ্য হয়ে কারফিউ জারি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি ছাত্রদের বিরুদ্ধে সেনা মোতায়েন করতে চাননি। তাই শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে ঘরে ফেরার পরই সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেনা মোতায়েনের পর পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।
এখনও দেশে সেনা মোতায়েন আছে, নিয়মিত বিরতিতে চলছে কারফিউও। তবে এবারের সেনা মোতায়েন ও কারফিউ আগের মতো নয়। সাধারণভাবে কারফিউ চলছে কিছুটা শিথিল আকারেই। কারফিউর সময় সেনাবাহিনী রাস্তায় টহল দেয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী কারো সাথেই কঠোর আচরণ করেননি। সেনাবাহিনী মূলত বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্যই মাঠে নেমেছে। সম্ভবত এই প্রথমবারের মতো সাধারণ মানুষ কারফিউ ও সেনা মোতায়েনকে স্বাগত জানিয়েছে, স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে।
পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর এখন বেরিয়ে আসছে ক্ষতচিহ্ন। এ যেন যুদ্ধক্ষেত্র, এ যেন ধ্বংসম্তূপ। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ শিক্ষার্থীদের হাত থেকে চলে যায়। তারপর থেকে শনিবার পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তালিকা করে করে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের লক্ষ্য ছিল ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। সে কারণে ঢাকার প্রবেশ মুখগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor
কমেন্ট বক্স